নবীজি (সা.) যে কারণে মিসওয়াক ব্যবহারে বেশি গুরুত্ব দিতেন

Estimated read time 1 min read

রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলিম উম্মাহর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ তার জন্য, যে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ। ’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ২৯)

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণই মুসলিম উম্মাহর সফলতার মূল হাতিয়ার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, দিন যতই গড়াচ্ছে, মানুষ ততই দ্বিনবিমুখ হচ্ছে।

দ্বিন পালনে অনীহা ও অনাগ্রহ প্রদর্শন করছে। আল্লাহর পথ ছেড়ে অভিশপ্ত শয়তানের পথে হাঁটছে। প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নতের প্রতি নেই বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ। অথচ বহু সুন্নত সুন্নত হওয়ার পাশাপাশি নানা রোগের চিকিৎসাস্বরূপ। এমন একটি অবহেলিত সুন্নত হলো মিসওয়াক করা। নবীজি (সা.) মিসওয়াকের প্রতি কী পরিমাণ গুরুত্ব দিতেন, তা হাদিসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। তিনি বেশি পরিমাণে মিসওয়াক করতেন এবং সাহাবিদেরও মিসওয়াক করতে উদ্বুদ্ধ করতেন।

মিসওয়াকের গুরুত্ব : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদের প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (সুনানে নাসায়ি : ৭)

মিসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ : মিসওয়াক আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কারণ। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহর সন্তোষ লাভের উপায়। (নাসায়ি : ৫)

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours